শতাব্দী প্রাচীন কাব্যিক ছন্দে
আর কবিতা নয়–
শুরু করি রূঢ়, বাস্তব, নির্ভেজাল সত্যের পরিবেশে।
হাতে বোম, কাঁধে রাইফেল – ট্রেঞ্চে শুয়ে ভাবছিলাম—
লেলিনগ্রাদ অধিকারের শেষ লড়াইটা।
হঠাত গুলির শব্দে তন্দ্রা ভাঙতেই, ট্রিগারে হাত দিতেই গুলি ছোটে– অন্যদিকে আর্তনাদ ও ছোটাছুটির শব্দ।।
এভাবেই চলছিল মাসের পর মাস…..
লড়াইটা লেলিনগ্রাদ বা কিউবাতে নয়, নিজের জমিকে দখলমুক্ত করার লড়াই।
২৪ ঘন্টার লড়াই-
কেন এমন হ’ল? উত্তরটা সোজা- গ্রামের শয়তানরা নিজের মিত্রকে চিনতে ভুল করেনি।
তাদের ফিরে পেয়েই আবার দখল করতে এসেছে-
পুরান কায়দায়।
প্রথমে বুঝতে ভুল হয়েছিল, ভেবেছিলাম এলাকা দখলের লড়াই।
পিছিয়ে গিয়েছিলাম, অনেক অনেক—
সব জমি হাতছাড়া – ৺বাচবো কি করে?
হঠাত নিঃস্তব্দতার মধ্যে বারুদের গন্ধে ঘুম ভাঙলো,
মিছিল এগিয়ে আসছে,
শ্লোগানে শ্লোগানে মুখরিত-
লড়াই, লড়াই, লড়াই চাই
লড়াই করেই বাঁচতে চাই।
সব ভয়, সব নিরাশা যুক্ত,
হানাদার হঠিয়ে
মুক্ত আকাশে পাখিদের কলরব। বুঝলাম অধিকার অর্জন করার…
চাইতে, তাকে রক্ষা
করা আরো কঠিন।।
– অসীম মুখার্জী